বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কমিটি ২০২৩-২৫

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের প্রধান ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল। ২০২৪–২৫ সালের কেন্দ্রীয় কমিটি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য এবং সাম্প্রতিক পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করা হলো। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কমিটি ২০২৩-২৫
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মৌলিক তথ্য ও আগত ইতিহাস
- স্থাপিত: ১৯৭৯ সালে গঠিত, বাংলাদেশের ইসলামি রাজনীতি ও মিশন (ইকামতে দীন) ভিত্তি করে
- প্রতিষ্ঠাতার আদর্শ: আবুল আ’লা মওদুদি থেকে প্রেরণা, ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাসী।
- অস্থিতাবস্থা: ২০২৪ সালের ১ আগস্ট সরকারের সিদ্ধান্তে নিষিদ্ধ হওয়া পর ২৮ আগস্ট উঠিয়ে নেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় সংগঠিত কাঠামো
জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সংস্কার ও অংশগ্রহণে বিশ্বাসী। প্রধান বিভাগগুলো:
- আমীরে জামায়াত (Ameer)
- কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা (Consultation Council)
- কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ (Executive Committee)
- কর্মপরিষদ (Working Committee)
- বিভিন্ন উইং: যুব, মহিলা, ওলামা, সমাজকল্যাণ, পেশাজীবী ইত্যাদি
২০২৩–২০২৫ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য তালিকা
সূত্র: জামায়াতের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও প্রকাশিত লিস্ট
প্রধান সদস্যরা:
-
ডাঃ মোঃ শফিকুর রহমান – আমীরে জামায়াত
-
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান – নায়েবে আমীর
-
ডাঃ সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের – নায়েবে আমীর
-
মাওলানা আ.ন.ম. শামসুল ইসলাম – নায়েবে আমীর
-
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার – সেক্রেটারি জেনারেল
-
মাওলানা এ.টি.এম. মা’ছুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান,…সহ মোট ১৯ জন
সাম্প্রতিক অবস্থা ও নির্বাচন
- ২০২৩ সালের শেষ দিকে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সভায় ২০২৩–২৫ সালের কমিটি নির্বাচিত হয় শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে।
- ঢাকা মহানগর উত্তরের ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কর্মপরিষদ গঠিত হয়, আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের নেতৃত্বে।
সাম্প্রতিক আপডেট ও আইনগত পরিস্থিতি
- ২০২৪ সালের ১ জুন সুপ্রিম কোর্ট জামায়াতের পুনরায় নিবন্ধন ভ্যালিড ঘোষণা করে, যে সময় তার প্রধান নেতা ATM আজহারুল ইসলাম খালাস পান।
- দেশজুড়ে ছাত্র-জনবিরোধী আন্দোলনে জামায়াত-শিবিরে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রেক্ষাপটে ২০২৪ সালের আগস্টে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।
আলোচনা ও পর্যালোচনা
- ধর্মপন্থী রাজনীতি: জামায়াত বিভিন্ন সময়ে ইসলামী রাজনীতির মডেল উপস্থাপন করেছে; তবে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বিতর্কিত ভূমিকা নিয়েছে।
- নিগূঢ় কাঠামো: আমীর ও শূরা কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়া চালায়—গোপন ভোট ও কেন্দ্রীয় অনুমতি জরুরি।
- ইসলামী দর্শন: সমাজকল্যাণ, ইসলামী শিক্ষার প্রসার ও রাষ্ট্রে শারিয়াহ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য রাখে।